March 18, 2022 - BY Admin

"উচ্চ চিন্তাধারা ও অন্তরে আধ্যাত্মিক শক্তি নিয়ে পথ চলুন"

উচ্চ চিন্তাধারা ও অন্তরে আধ্যাত্মিক শক্তি নিয়ে পথ চলুন।



নিত্যদিন বেড়েই চলেছে ভক্তের সংখ্যা মহারাজ এর আশ্রমে। তার সাথে সাথে বাড়ছে সত্যের প্রচারও।  আজও বেশ কিছু ভক্ত এসেছেন মহারাজ এর কাছে।


আমাদের মহারাজ বলেন "আশ্রম কোন ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপনের জায়গা নয়। নিজেকে সত্যমুখী, ঈশ্বরমুখী ও মুক্তিকামী করে তোলা এবং সেই পথে ক্রমশঃ এগিয়ে চলা -- এটাই এখানে আসার উদ্দেশ্য।



কিছুক্ষন পরেই মহারাজ এসে বসলেন ভক্তদের কাছে। কথা প্রসঙ্গে 'পুনর্জন্ম' ও 'নিরামিষ আহার' - এই দুটো এপিসোড এর বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কমেন্ট নিয়ে মহারাজ ও ভক্তগণ সকলেই খুব হাসাহাসি করলেন।



এরপর একজন ভক্ত প্রশ্ন করলেন......



ভক্ত: আমি একজন গৃহবধূ। আমার ছয় বছরের একটা সন্তান আছে। আমি সংসারে সাধ্যমতো নিজের duty পালন করার পর সন্ধ্যাবেলায় নিজেকে তিন ঘন্টা সময় দিই। ঐ সময় আমি বিভিন্ন ভাবে সৎসঙ্গ করি -- যেমন বই পড়ি, লেখালিখি করি, গান করি, আপনার ভিডিও শুনি ইত্যাদি। এইসব নিয়ে পরিবারের সাথে, স্বামীর সাথে মাঝে মাঝে সমস্যা ও ঝামেলা তৈরি হয়। বাড়িতে কেউ এটা ভালো ভাবে নেয় না।



এখন আমার প্রশ্ন... এইরকম কেন করে? এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সত্যের দিকে এগিয়ে যাবো?



মহারাজ :  প্রত্যেক মানুষই সংসারে একটা তাসের ঘর বানিয়ে রাখে। কোনো কিছুর বিনিময়ে সেটাকে নড়চড় হতে দিতে চায় না। সে ভয় পায়। একটু হাওয়া দিলেই হয়তো ভেঙে যাবে। এবং এইরকম ঘরকে টিকিয়ে রাখার জন্য সে জীবনের সব energy লাগিয়ে দেয়। তাই  প্রচলিত ধারার পরিবর্তন কেউই চায় না। কারণ সেখানে তার স্বার্থে আঘাত লাগে, সুযোগ সুবিধায় কম পরে।



আপনি নিজেকে যে সময় দেন, কখনো কোন কিছুর বিনিময়ে সেটা ছাড়বেন না। শুধুমাত্র একটা নিদিষ্ট সময়ের জন্য নয়, পুরো দিনের সব কাজের মধ্যেই একটা উচ্চ চিন্তাধারা থাকা দরকার যার দ্বারা আপনি সকলের কাছে একটা আদর্শ স্বরূপ হতে পারেন। সত্যকে কখনো অস্বীকার করা যায় না। ব্যক্তি যতই বিরক্তিকর হোক তার ভালো গুণ  প্রশংসিত হবেই।



আসলে মেয়েদের একটা বিশেষ problem হল তাদের মধ্যে একটা dignified life এর বড়ো অভাব। তারা খুব emotional হয়। স্বামীর প্রতি বিশেষ ভাবে দুর্বলতা থাকে। একবার গলতে শুরু করলে নিজেকে উজাড় করে দেয়। স্ত্রীর মধ্যে সৌন্দর্য, সহানুভূতি, প্রেম থাকার সাথে সাথে দৃঢ়তা, dignity, ব্যক্তিত্ব অবশ্যই দরকার। স্বতন্ত্র অস্তিত্বের মাঝখানে কাউকে স্থান দেওয়া যাবে না। যে কোন কথাকেই সঠিক যুক্তি দিয়ে বিচার করে তবেই গ্রহণ করবেন।


'সত্য' সবসময় first love হবে। সত্যের সামনে পিতা, মাতা, স্বামী, সন্তান, বন্ধু কেউই issue নয়। সকলের প্রতি প্রেমপূর্ণ অবশ্যই হবেন... তাদের হিতাকাঙ্খী রূপে, তাদের উন্নতির জন্য। কোন আসক্তি থেকে নয়। কাউকে ভালোবাসা মানে তার মুখের কথা সবসময় মেনে চলা - এটা নয়। তার হিতাকাঙ্খী হয়ে তার চেতনার উন্নতি বিধান করা, সঠিক উচ্চ মূল্যবোধ থেকে জীবন বাঁচতে শেখানো, নিজের স্বরূপকে চিনতে সাহায্য করা -- এটাই প্রেমের পরিভাষা। সত্যকে priority দিয়ে আপনি আপনার স্বামী ও সন্তানের চরম হিতাকাঙ্খী হয়ে যান। এটাই তাদের প্রতি প্রেম নিবেদন হয়ে যাবে।



সৎসঙ্গের ক্ষমতায় বিশ্বাস রাখুন। এটা কখনো ছাড়বেন না। নিজেকে এতটাই আদর্শবান করে তুলুন যাতে পরিবার আপনাকে দেখে শিখতে পারে, অন্তরে এতটাই শক্তি সঞ্চয় করুন যাতে আপনি নিজে উঠে অন্যকেও ওঠার সহায়ক হতে পারেন। এই ভাবেই সত্যের পথে এগিয়ে যান।