৬ ই জানুয়ারী, ২০২২, বৃহস্পতিবার
অদ্বৈত জ্ঞান পীঠ (স্ত্রিয়ঃ সমস্তাঃ) শাখার শুভ উদ্বোধন।
বেলা ১০.৩০ মিনিট। সকালের বিশেষ পূজা সম্পন্ন হওয়ার পর "যোগবাশিষ্ট সারঃ" নিয়ে ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়েছে। বক্তৃতার শেষের দিকে "স্বামীজীর ঠাকুরকে পরীক্ষা করা"- সেই বিষয়ে পূজনীয় মহারাজ আলোকপাত করেন -
মহারাজ বলছেন, " আমাদের যে আন্তরিক চাতুরি যদি কেউ ভাঙতে পারে তা হল একমাত্র গুরুমূর্তী। তুমি যেটাই বলবে হয় না, গুরু বলবে -এই দেখ্। এই প্রসঙ্গে মহারাজ বলেন, স্বামীজী এসে ঠাকুরকে বলছেন - দুধ চাই, মাছের মুড়ো চাই, আর টাকা লাগে না! দিল বিছানার তলায় টাকা ঢুকিয়ে। এবার চোখের সামনে তিড়িং করে লাফিয়ে উঠেছে ঠাকুর, এবার আর কি করবে? স্বামীজী ভাবতে বাধ্য হলেন, নিশ্চিত এমন কিছু ঘটে, নাহলে কোনদিনও বিশ্বাস করতেন না স্বামীজী। এবার স্বামীজী ভাবলেন যে, ঝাড়-টাড় খাবো মনে হয়, ধরা পড়ে গেছি, সেখানেও আবার অন্য Case. আমরা এরকম হলে কি বলবো যে, দুদিনের ছোড়া, তুই আমাকে পরীক্ষা করতে এসেছিস? কিন্তু, ঠাকুরও তেমন, হাসতে হাসতে বলছেন, বেশ করেছিস, সাধুকে দিনে দেখবি, রাতে দেখবি, এইভাবে মেপে নিবি। এখানেও স্বামীজীর Double হার। একে তো গোলমাল, তার উপর ক্ষমা, প্রেম। কি করে বাঁচবে কোন নরেন দত্ত এমন রামকৃষ্ণকে পেলে? ওকে তো মরতেই হবে, বিবেকানন্দকে তো জন্মাতেই হবে।"
এই বিষয়ে মহারাজ আরও বলেন, "বিবেকানন্দ হতে গেলে তো রামকৃষ্ণকে দিনে রাতে দেখতে হবে। কিন্তু, সেই সুযোগ কোথায় দিই আমরা? সেই সুযোগ দিই না। বিবেকানন্দ থাকে আমাদের মধ্যে বীজ হয়ে। বীজ নিয়ে আমরা চিতায় উঠে যাই, বীজ ওখানেই পুড়ে যায়। এর মধ্যে কোন পুনর্জন্মের কাহিনী নেই যে আবার বীজ জন্মাবে।