August 18, 2022 - BY Admin

"জগতে সদা বিকল্প রাখো, সত্য সর্বদা নির্বিকল্পতা রাখো"

আশ্রমের সবকাজে সে ঘর মোছা থেকে পোস্ট লেখা হোক বরাবর মহারাজকে দেখা যায়, over concious, বকাঝকা ও সর্বোপরি সবকিছুতেই যেন এক সন্দেহের ভাব। হয়তো কাজটা হলো না, হয়তো সব ঠিক সময়ে হয়ে উঠবে না। এ যেন সংসারীর থেকেও ঘোর সংসারী! সবসময় ভাবছেন ঐ কাজটাতে খরচ হয়ে যাবে, এটা হয়তো শেষ হবে না, কথা দিয়ে কেউ না-ও আসতে পারে। সে না আসলে কে ঐ কাজটা করবে?


একজন ভলেন্টিয়ার ও আশ্রমিক জিজ্ঞাসা করলো, যে এই সব বিষয়ে কেন এত 'মন' দেন? তাতে মহারাজ বললেন, "দেখো, যখন আমার নিজের রুমালটা হবে, তখন এদিক ওদিক পড়ে থাকলেও, রঙ চটলেও কি বিরক্ত দেখছো? কাজটা সব থেকে মহত্ত্বম কর্ম। বাস্তবে, শুধুমাত্র এটাই কর্ম। জ্ঞানপীঠে যা হচ্ছে, অন্তত আমার উপস্থিতিতে, তার একমাত্র উদ্দেশ্য মুক্তি। তোমরা কি মনে করো, ভিতরে কোন enlightment বলে, অদ্ভূত অনুভব ঘটবে। প্রকৃতি বন্ধন দেয়। এইসব কাজই প্রাকৃতিক। কিন্তু, যখনই তুমি একে পুরোপুরি শিবত্বের কাজে লাগাচ্ছ তখন এ কাজ আত্মিক। যেমন নুনের দাম বড়ো সামান্য। কিন্তু ভোগ রান্নার সময় যদি শুধু ওই সামান্য নুন বাদ যায়, তবে কি হবে? প্রাকৃতিক দেহ, জীবন একে পরমের সেবায় লাগানোর মূল সূত্রই হলো,'সচেতনতা'। আরেকটা ভালো থাকার formula জেনে নাও। আত্মা মাত্র নিশ্চিত, পরম, নিরবিকল্পতা। এ জগত ভরসার যোগ্যই নয়। যার মধ্যে দৃঢ় ভাবে সত্য গাঁথা নেই, তেমন কাউকেই 'নিশ্চিত'  -এর আসন দিও না। জগত ব্যবহারে সব সময় বিকল্প রেখে চলো। মানুষ বিপরীত আচরণ করে ও পস্তাতে হয়। তোমরা জাগতিক বিষয়, সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হয়ে যাও। সিদ্ধান্ত করে নাও -এর চরিত্র এমন, ওর স্বভাব এমন, আর পরমার্থে হাজার সংশয় আনো। জেনে রেখো, জগতে 'সত্য, আঁধার' কেন্দ্র দৃঢ় নেই, তার নামই 'দুশ্চরিত্রতা'। সে যে কোন সময়ে betray করবে। এটা বুঝে চলাই 'বিবেক'। এবিষয়টা মাথায় রেখো।

"জগতে সদা বিকল্প রাখো, সত্য সর্বদা নির্বিকল্পতা রাখো।"