জন্মাষ্টমীর দিন, বিকেলে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে যে video publish করা হবে তার ব্যবস্থা চলছে।
এক ব্রহ্মচারী মহারাজ video upload করবেন বলে ready করছেন। ৮ টার সময় premiere। ব্রহ্মচারী মহারাজ video দেখতে দেখতে মহারাজকে বললেন : "দেখুন মহারাজ আজকে আপনাকে video টায় দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।"
মহারাজ তখন খাটে বসে চা খাচ্ছিলেন, একটু অন্যমনস্ক হয়েই বললেন "হুম"।
ব্রহ্মচারী মহারাজঃ (একটু বিরক্ত হয়েই) বললেন, " আপনার যেন interest-ই নেই কোন কিছুতে"!!!
এবার মহারাজ একটু হেসে বললেন "কি করবো বল্?"
ব্রহ্মচারী মহারাজঃ বললেন, "কেন?"
মহরাজ "কখনো বলিস দেখতে ভালো লাগছে না, বয়স্ক লাগছে,ক্লান্ত লাগছে,চোখটা লাল লাগছে, আবার এখন বলছিস্ যে, সুন্দর লাগছে । কিন্তু, আমি জানি যে না ভালো লাগার 'আমি'টা আমি,না খারাপ লাগার 'আমি'টা আমি। এসব camera-র খেলা, ঠিক যেমন মায়ার খেলা, এই ভালো লাগা-খারাপ লাগার মধ্যে ফাঁসিয়ে রাখে।
ব্রহ্মচারী মহারাজঃ "তাহলে কি মানুষ এই মুহূর্তগুলির সুখভোগ করবে না?"
মহারাজ: "তোর ভালো লাগার সুখই তোর খারাপ লাগার দুঃখের জন্ম দেয়। যখন তুই ভালো দেখতে লাগার সুখ পাস তখন খারাপ দেখতে লাগার দুঃখও তোর জন্য mandatory হয়ে পরে। কাছে আছিস, তো শুনে রাখ। এ দুটোর থেকেও ভিন্ন কিছু আছে, যা না থাকলে মানুষ এতে ফাঁসবেই ফাঁসবে। আমি ওখানে বসে যখন বলি, আমরা শব্দগুলো সেই ভিন্ন কিছু, যা দেখতে কেমন লাগছে, তার ধার - ধারে না। যদি তুই এটা বুঝতে পারিস যে, ভালো লাগা কিংবা খারাপ লাগা দুটোই অনিত্য, একমাত্র তুই নিত্য তখন এই ভালোলাগা খারাপ লাগা তোকে স্পর্শ করতে পারেনা।
গীতার সেই কথাটা মনে নেই?
"দুঃখেষ্বনুদ্বিগ্নমনাঃ সুখেষু বিগতস্পৃহঃ।
বিতরাগভয়ক্রোধঃ স্থিতধীর্মু নিরুচ্যত।।"
এই কথাটা বলে মহারাজ চুপ করে সাধারণভাবে চা খেতে লাগলেন।
এর থেকে কি বোঝা যায় অধ্যাত্ম্য গভীর হওয়া সত্ত্বেও কতটা সহজ যা আমাদের জটিল মস্তিষ্কে কখনো কঠিন বা কখনো impractical ও মনে হয়ে থাকে। আবার দেখলাম, এত বড় একটা উক্তি বা জীবন দর্শনও কেমন কোন focus ছাড়া রোজকার আম জীবনে উঠতে-বসতে নিয়ে চলা যায়। হয়তো এটাই "অধ্যাত্ম"।
চা শেষ করে মহারাজ কাপটি রাখতে গেলেন, আর যাওয়ার সময় ব্রহ্মচারী মহারাজকে বলে গেলেন "নে!!!! তোর একটা blog- এর কনটেন্ট পেয়ে গেলি।"