April 08, 2022 - BY Admin

"মহারাজের কাছে প্রথম দিন"

স্থান - মধ্যমগ্রাম, জনৈক ভক্তের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো, পূজারী মহারাজ নিজে। আমি মহারাজের কথায় volunteer হয়ে এসেছি, এছাড়াও প্রায় সমবয়স্ক পাঁচ-সাত জন volunteers এসেছেন, যথা নিলাদ্রি (ওই এলাকায়ই থাকে, এখন কোন আশ্রমে ব্রহ্মচারী), অনুরাগ, গৌতম (এরাও সাধু হয়েছেন), মিলন, কামাক্ষা, সতীপ্রসাদ ইত্যাদি। আমাদের  ভান্ডারী ছিলেন অনুরাগ মহারাজ, মঠের কোন সেন্টারে কিছু দিন ব্রহ্মচারী হয়ে থাকার ফলত পূজার সকল বিষয় তার মোটামুটি জানা, তবে আমাদের মহারাজ এই বিষয়ে খুবই নিষ্ঠাবান ও খুঁতখুঁতে, তাই অনুরাগ মহারাজ খুবই সজাগ তবে বড়ো বাচাল, কোন্ আশ্রমে কি হয়েছে, কোন্ মহারাজ কি করেছে বলতে শুরু করলে থামে না। তবে আমিও বাচাল আছি ও গুরুচন্ডালীর দোষ আছে, তবে এত না, মহারাজ মাঝে মধ্যেই এসে দেখে যাচ্ছেন সব ঠিক আছে কিনা ও অনুরাগ দাকে সজাগ করছেন কাজের থেকে কথা বেশি হচ্ছে বলে। আমি নতুন তাই ভুল করলে এখন মাপ, তো কোন প্রশ্ন থাকলে আমি মহারাজকে ‘স্বামীজী’ বলে সম্বোধন করতাম, কেননা তখন অমি মঠের কালচার সম্পর্কে পরিচিত নই। কিন্তু মহারাজ আমায় ‘স্বামীজী’ বলে সম্বোধন করতে মানা করেছিলেন, তো অভ্যাস বশত আমি আবার বলে ফেলি, কিন্তু উনি এবার আমায় একটু বকা দিয়ে বারণ করেন।


আমি - কিন্তু কেন? স্বামীজী বললে কি হবে? আপনার নামই তো স্বামী ত্রৈলোক্যানন্দ।


মহারাজ- আসলে আমরা স্বামী বিবেকানন্দ কে সম্মান দিয়ে স্বামীজী বলি, তাই এটা বলে আমায় ডেকো না, মহারাজ বলবে। 


আমি- ঠিক আছে মহারাজ। তবে আমার অহং প্রবৃত্তি বেশি বলে কোন অভ্যাস চটকরে পাল্টাতে পারি না, বারংবার অভ্যাস করতে হয়, তো ‘স্বামীজী’ বলে এরপরও কয়েক বার মহারাজকে সম্বোধন করেছি ও বকাও খেয়েছি। তবে এর থেকে বুঝেছিলাম স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে ওনার হৃদয়ে আন্তরিক গভীর শ্রদ্ধা আছে। 



- ব্রহ্মচারী রুদ্র মহারাজ