January 21, 2022 - BY Admin

"মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্ম"

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১, রবিবার

শ্রীশ্রী মায়ের ১৬৯ তম আবির্ভাব তিথি পূজা


রাত্রি ৮ টা, পূজনীয় মহারাজ আশ্রমিক ভক্তবৃন্দ ও ব্রহ্মচারীদের সাথে বসেছেন।


একজন ভক্ত বলছেন আচ্ছা মহারাজ, এই যে বাড়ির ছেলে বা মেয়ে সাধু হতে চাইলে ৯৯% বাবা, মায়ের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়-মা কান্নাকাটি করে, বাবাদের তো স্ট্রোক অব্দি হয়ে যায়। সন্তান উচ্চ আদর্শের জীবন বাঁচার লক্ষ্যে এগোচ্ছে, দিন রাত সাধুসঙ্গ করছে, এতে কি সাধুর মা এর কান্না সাজে? বরং তার তো গর্ব হওয়া উচিত এমন সন্তান থাকার জন্য। 


মহারাজ বলছেন, "সাধুর মা এর কাঁদার কোন অধিকার নেই, তোমার গাছের ফুল অর্ঘ্য হয়েছে তুমি কাঁদছো কি করে! সবার তো খোপার ফুল হয়।" 


এই কথা শুনে সেখানে উপস্থিত একজন মা বলেন, ছেলে মেয়েরা সহজে ছাড়তে পারে মহারাজ, মা - বাবা রাই ছাড়তে পারে না।


এই প্রসঙ্গে মহারাজ বলেন, "আপনি গরিমা বুঝতে চেষ্টা করুন। আপনার সন্তান জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ করছে, আপনি বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ান। আজকে টাকা রোজকার করতে কি না করে লোকে! নিম্ন থেকে নিম্নতর কর্ম করে। দেখুন তো সমাজের এক এক জন actively, passively কত লোকের যন্ত্রণার কারণ। কিন্তু, একজন সাধু কারও যন্ত্রণার কারণ নয়, আর কিছু হোক না হোক সে কাউকে যন্ত্রণা দেয় না। এটা জীবনে বুঝলে আর কাঁদার জায়গা নেই।


কি করে কাঁদছেন?

আপনার সন্তান কে মায়া নিয়ে গেল, সন্তানের বিয়ে দেওয়ার সময় মুখে তো খুব হাসি। আর আপনার সন্তানকে কৃষ্ণ নিয়ে গেল, এতে কান্নার কি আছে? আরে পুরুষোত্তম নিয়েছে।


সবাই তো জীবনে রং ধরিয়েছে কিন্তু আপনি রং ছাড়িয়েছেন। তিনি তো বেরঙা তাই না। আপনি জানবেন, জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ করেছি, যদি জীবনে বড়ো কিছু করে থাকি তো, এটা করেছি।"


স্বামীজী এমনি এমনি বলেননি যে,

"কুলং পবিত্রং জননী কৃতার্থা।"