August 24, 2022 - BY Admin

অগোছালো

বরাবর দেখা যায় অগোছালো ভাব আমরা কেউ পছন্দ করি না। এমনকি বেশিরভাগ মানুষ যারা গোছানো নয়, তারা নিজেরাও এই অপারগতায় ব্যতিব্যস্ত, বিরক্ত। কারণ, প্রয়োজনের সময় বিশেষ অসুবিধা হয়। জ্ঞানপীঠ-এ মহারাজও প্রচণ্ড বিরক্ত হন তা দেখলে। 'উত্তম মধ্যম ঝাড়' চলতে থাকে। জিনিষপত্র নষ্ট হলে, তো সবাই disturbed হয়। তবে কি মহারাজও ভৌতিক পদার্থে এতো concern? জগত বিষয়ে তো সন্ন্যাসী উদাসীন হবে? আর বিষয়টা প্রচণ্ড seriousley দেখেন। বকাঝকা কমতে চায় না! তবে কি? ....এক নবাগতের মনে সংশয়। একদিন উপনিষদের ক্লাসের পরে রাতেরবেলা একান্তে জিজ্ঞাসা করেই ফেলল সাহস করে, "এই বিষয়টা ঠিক মেলাতে পারছি না। বুঝিয়ে দিন। আপনিই বলেন, প্রশ্ন করো, তাই বললাম।"


মহারাজ বললেন, বেশ করেছো। Video তে তো formal থাকি। সব ছোট খাট বিষয় ওঠেই না। সবার বড় বড় সমস্যা। কারোর রোজগার, সম্পর্ক, বিবাহ। জ্ঞান, মুক্তি, শাস্ত্র - কত কি! যা আসবে তাই তো বলবো? আসলে জীবন তো এই ছোট-খাট বিষয়েই ফেঁসে। জগত তো তুচ্ছ বলছি, তবে প্রশ্ন যে, তুচ্ছ জিনিসের এতো ভিড় কেন কারোর জীবন, যে এতো অগোছালো? বস্তু প্রয়োজন অথচ তার অসম্মান প্রকৃতি বরদাস্ত করে না। এই জন্যই তোমার ভিতরে যদি মোহ থাকে, কারোর প্রতি দায়িত্ব নিতেই হবে। এটি প্রকৃতির বিধান। প্রকৃতিতে হাত দিলে, তার rules follow  করে বেরিয়ে আসতে হয়। চালাকি কার্য-কারণে চলে না। লুকিয়ে Cigarette খেলে কি tar জমবে না lungs-এ? আর দেখো, তোমাদের স্বনির্ভর হতে হবে, যদি অধ্যাত্ম চাও। জগত কি তুচ্ছ ও বস্তু কি অপ্রয়োজনীয় লাগছে? তবে বেশ! জিনিস কমাও। কিন্তু, যদি ভিতরে প্রয়োজনবোধ থাকে, অথচ তা রক্ষা না করো। ফলাফল 'নির্ভরতা'। হারানো জিনিসের জন্য টাকা লাগবে। রোজগার বাড়াতে হবে। যে 'পর-নির্ভর' সেই তো বন্ধন। নিজের কাজ করতে না পারলেই, পুরুষের, স্ত্রী-রও দরকার পড়ে। ছোটবেলায় মা করে দিতো, বড় হলাম, কিন্তু শিখলাম না, এবার? 'কোই না কোই চাহিয়ে', তার সাথে প্রাকৃতিক বৃত্তির সমর্থন তো আছেই। কি ঘর, কি আশ্রম, ঐ অতিরিক্ত প্রয়োজন যা অপচয় ও সংযমের জন্য হলো, তার জন্য নিজেকে বা আশ্রমকে বহির্মুখ হতে হবে, চাইতে হবে। বুঝলে? কেন বলি? এ জগতই মিথ্যা, বস্তু কি সত্য হবে? কিন্তু, তোমাদের জীবন, মুক্তি, স্বাধীনতা, অমূল্য। তা যেন বিঘ্নিত না হয়। তাই বলা।


নবাগত ভাবছে বাপ রে! ছোট বিষয়ের পিছনে এতো কিছুও থাকতে পারে? এত দূর দেখা! একেই হয়তো দিব্যদর্শন বলে। অসাধারণ চোখ, কোথায় এতো দেখে? মন কোথায় এতো ভাবে? নবাগতের মনে পড়তে লাগল মহারাজের কথা, "অধ্যাত্ম, এই মুহূর্তে। সব সময়।"