মহারাজের সাথে একদিন কথা হচ্ছিল। উনি বেদান্ত ছাড়া কিছুই বুঝতে নারাজ অর্থাৎ জগতের যাবতীয় বিষয় উপনিষদের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন। আমাদের প্রত্যহ বলেন দেহধারী গুরু দরকার তাদের ও ততক্ষণ, যতক্ষণ তারা দেহের স্তরে আছে। যত উপরে উঠবে তত নিজেই নিজের গুরু হবে। দেহধারী গুরু একজন রেপ্লিকা বা উদাহরণমাত্র - "যে দেখো বেদান্তের কথাগুলো বাঁচলে এইরকম ব্যক্তি হতে পারা যায়। এ শুধু সিদ্ধান্ত নয়।" প্রথমে দেহধারী কেউ না থাকলে তোমাদের impractical মনে হবে উপনিষদকে।কিন্তু,তাকে কামড়ে ধরা দ্বিতীয় বোকামি। আর এটা অসংখ্য মানুষ করে থাকে।
আমি : আপনি অহংকারকে ধরিয়ে দেন বলেই তো আপনার সঙ্গ করতে চাই এবং আরও বেশি করে চাই।নিজের বিষয়ে আগের অনেক rigidness গুলো ধরতে পারছি।(আমার কিছু ব্যক্তিগত ঘটনা ও অভিজ্ঞতা বললাম।)
মহারাজ : দেখো,সাবধান করছি এখন থেকেই। এ তো সবে শুরু!! ছোটখাটো বিষয়। কিন্তু,একটা সময় আসবে যখন তোমার core identity তে হাত পড়বে। এটাই Spiritual progression.
ধরো,তোমার পেটে টিউমার, এবার যে ডাক্তার অপারেশন করবে সে যদি তোমায় medical instruments গুলো দেখায় তবে তুমি ভাববে যে - " পেট কাটলে তো রক্ত বেরোবে, যন্ত্রণা হবে "। তখন ডাক্তারকে তোমার threat বলে মনে হবে। ছুটে পালাবে।
কারণ, তুমি জানো না যে tumor টাকে কেটে দিলে তোমারই কল্যাণ!তুমি স্বীকারই করনি যে তুমি অসুস্থ। স্বাস্থ্যের প্রতি প্রেম নেই। ব্যাথার প্রতি গভীর দৃষ্টি নেই।
ঠিক তেমনি গুরু কিন্তু ধীরে ধীরে তোমার central অহংকারকে ধরবেন এবং ওখানে আঘাত করবেন। তখন তাঁর অবস্থাও ঐ ডাক্তারের মতো হবে। তখন একমাত্র গভীর প্রেম থাকলে তবেই সঙ্গ করতে পারবে। ঐ বিন্দুই জীবন নির্ণয়ের চৌকাঠ। আর বেশিরভাগ ওখানেই U-turn নিয়ে পুরানো পথ,ব্যক্তিত্বের কামড়ই বেছে নেয়। তাই, নিজের বর্তমানের প্রতি সহজ স্বীকারোক্তি রাখো।
চোখের সামনে শাস্ত্র ভেসে উঠলো - " ভবরোগ বৈদ্য"।