ভিড়ের মাঝখানে সম্মোহিত আমি একজনা।
কি গো শুনছো, ওঠো,চলো,জাগো,এগাও বলা অক্লান্তমনা।
তারপর হঠাৎই ভাঙে এযাবৎ ঘোর।
এতো ফ্যাক্টরি!! বা কোন শ্মশান।
ভিড়!ভিড়!কিন্তু লাশ বা যন্ত্র অবিকল!!!
তবু,আশায় বাঁধি বুক! বলি,আমরা তো একই ,খুঁজি তো আলাদা কি বা আর??
আরে!!খোলগুলো সবই এক।বুকে যে পেসমেকার!
তবুও এই যে বুকের পাশে যেটা!!ওটা তো ঘড়ি নয়!!হতে রাজি নয়।
ছুঁয়ে দেখি তো, মুক্ত,স্বচ্ছন্দ- নয় কোন অভিনয়।
ওর ছন্দে আজও নেই কোনো কৃত্রিমতা।তবে কেন চারদিকে,যন্ত্রের জড়তা!!
সবের যে দর আছে,নেই শুধু ওর।
সবাই বেচে দিলেও, বেঁচে আছে যে ও,থাকবে নিজেতে বিভোর।
চাই না কোনো দাম আমি,বাঁচার দামেতে।
Not for Sale আমি এ সস্তার বাজারেতে।
কেনা- বেচা ছাড়াও বিন্দাস্ থাকা যায়।
বেঁচে থাকতে আমি আজও বড় নিরুপায়!!
যদি একা থাকতে হয়!!ভিড়ের বাজারেতে....
একা থাকার জ্বালা জানিস!! লাশের সমাজেতে??
এই বলে ভয় দেখায় আমারই অন্তর।একি হলো!মেশিন হয়ে গেলে কেন বন্ধুবর??
তুমি যে আমারই অন্তর!!
মৃতের যে ছোঁয়ায় ছিল, গ্রীজের কালিও লেগেছিল। তাই জন্যই এমন বিড়ম্বনা।
তবুও তো জীবন্ত তুমি- এটা ভুলো না।
শোন তবে,
কেউ যদি সারা না দেয়...
কেউই যদি সারা না দেয়,যাব সে ভিনদেশে।
জীবন পিয়াসী আমি,মৃতে কি আশ মেটে!!
হেসেছি,খেলেছি আমি,জীবন তো মুক্ততায়!
তুমিই বলো, যন্ত্রে সুখ হয়, প্রেম কি পাওয়া যায়?
"জাগো- ওঠো" বলে গাবো সম্বিতের গান।
নাই বা বুঝলো কেউ, মৃতের বাজারে। আমি যে স্বপ্রমাণ।
মরার আগে বাঁচব আমি,পরার আগে নাচব আমি।কে বা বাঁধে দেখি!!
DSLR camera নই!!
DSLR camera তো নই!!
আমি জীবন্ত আঁখি।
তাই,প্রাণভরে দেখি।
কেউ এখনো বেঁচে নাকি?