আজ রাত্রে পাঠের পর তিনি আমাদের সাথে আলোচনাতে বসলেন। সন্ধ্যার পাঠে আমি তুকারামজী সম্বন্ধে দু - চার কথা আলোচনা করেছি। হয়তো সেই সূত্র ধরেই তিনি শুরু করলেন কথপোকথন।
তিনি: তুকারামজী কিভাবে মারা গিয়েছিলেন বলো তো?
আমি: আমি অতদূর পড়িনি, শুধু তাঁর জীবনকাহিনী, বাণী,এবং তৎকালীন পরিস্থিতিতে তাঁর অবদান , তিনি যাদের শুনে প্রভাবিত হন এইসব বলেছি।সাথে তাঁর জীবন কীভাবে গান্ধীজিকে প্রভাবিত করে বা ওনার philosophy কি ছিল এইসব।
তিনি: উনি এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব যিনি তৎকালীন পরিস্থিতিতে গৃহস্থ থেকেও মুক্ত ছিলেন। শোনা যায় মৃত্যুকালে নাকি বৈকুণ্ঠ থেকে রথ এসেছিল তাঁকে নিয়ে যেতে। আর এটা নাকি কয়েকজন ব্রাহ্মণ দেখেছিলেন। কেননা একটা জলজ্যান্ত দেহ তো আর উবে যেতে পারে না। আবার তাঁকে হত্যাও করা হতে পারে। এমন জল্পনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আমি: পড়ছিলাম যে উনি caste system এর উপর প্রচন্ড আঘাত করেন।
তিনি : caste system মানেই তো আমি বড়, তুই ছোট। তুই আমাকে সব কিছু সুবিধা দিবি, পুজো করবি, আমি ঈশ্বর - হ্যান ত্যান। লোকের সুবিধায় হাত দিলে বিরোধ তো আসবেই।
আমি: তবে আমাদের বাংলাতে caste system এর খুব একটা বাড় বাড়ন্ত দেখা যায় না।যেটা অন্য স্টেটগুলোতে খুব দেখা যায়।
তিনি: সবাই গু পরিষ্কার করছে - ব্রাহ্মণও করছে আর শুদ্রও , কিভাবে ভেদ হবে তবে? ভেদ তো তখন হবে যখন তুমি জাগ্রত অর্থাৎ উপরে উঠতে চাইছো। দু জায়গায় আমরা অভেদ লক্ষ্য করি - ১) জ্ঞানীদের কাছে ২) অজ্ঞানীদের কাছে। চরম বিপরীত দুই ব্যক্তিকে এক দেখতে লাগে। যেমন কুঁড়ে ব্যক্তি আর জ্ঞানী ব্যক্তি দুজনেই চুপচাপ থাকেন। তাই বলে কি তারা এক?
চারিদিকে সবাই কেমন দাসসুলভ মন নিয়ে চলছে দেখতে পাচ্ছ না? ব্রাহ্মণও টাকার লাইনে শুদ্রও টাকার লাইনে তবে তো এমনিই অভেদ বোধ হবে।