এই ধরুন আমরা আপনাকে এত প্রশ্ন করছি এত বকাচ্ছি, যারা আপনার আরো কাছে এসেছে তাদের দিনরাত এত কথাবার্তা ,তাতে আপনার বিরক্ত লাগে না? আর আপনার তো গলাতেও সমস্যা!
মহারাজ বললেন,ভালোবাসার দায়িত্ব নিয়েছি তো, আর এটা তো প্রেম থেকে আসে।! আমি জীবনে জোর করে কিছু করিনি।
আমি বললাম আমরা তো অনেক সময় বলি যে আমাকেই তো দায়িত্ব নিতে হবে।না হলে আর কে করবে!— এটা কি জোর করে না বাধ্য হয়ে?
মহারাজ: হ্যাঁ। ওটার মধ্যে প্রেম অনেক সময় থাকে না তো!না বোঝা দায় থাকে।যেহেতু নিজের সাথে বোঝাপড়া নেই,তাই কিছু সময় পড়ে প্রেম বোঝা হয়ে যায়।নিজেকে না জানলে প্রেম অসম্ভব।
আর আমার ক্ষেত্রে কি বলতো! কেউ ধর, নিজের পথে এগাচ্ছে তার জন্য কথা বলতে খারাপ লাগে না!
কারও মানসিক স্থিতি,শরীর হয়তো এখনও সেভাবে গঠন হয়নি অথচ হয়তো এমনিই প্রশ্ন করছে। কাজে কিছু করতে পারবে না।তাকে আমি বলি,এখন বেশী কথা বলতে এসো না। টিকে যাও।
এমন কারোর জন্য ধৈর্য্য ধরাই শ্রেয়।
আমি- মহারাজ,আমি আপনার কাছে আসি কিন্তু আপনার জন্য মনটা টানে ঠিকই, আবার আসব না ভাবলে খারাপ লাগে। কিন্তু আপনার সব ভাব নিতে পারছি না! আমার কি করা উচিত? আমার কি এখানে আসা ঠিক হবে না নাকি—অন্য কোথাও যাবো ?
মহারাজ: দেখ্! আমি কখনই কাউকে এটা বলতে পারব না,যে তোর এখানেই হবে। হতেই পারে হয়তো তোর অন্য কোথাও হবে! আবার এমনও হতে পারে যে,এখন থেকে ২ বছর বাদে সব ঘুরে তুই এখানে আসলি,তখন হয়তো তোর বিশ্বাস দৃঢ় হল!
তবে এটা বলতে পারি, তুই আমাকে তখনও ২ বছর বাদে তোর জন্য এখনকার মতোই পাবি। দুই বছর বাদে এসেছিস বলে, কথা বলব না তা না!তোর জন্য আমি সবসময়ই আছি।
তাছাড়া কোন মানুষের বাড়িতে থেকেও হতে পারে।মাথায় এটা রাখিস না যে আশ্রমে চলে না আসলে হবে না। জ্ঞানলাভ করার জন্য যে বাড়ি ছাড়তে হবে তা নয়, অনেক সময় হয় কি!হয়তো কারোর বাড়ির প্রতি এত ভালো লাগা থাকে না, উল্টে বাড়ি বন্ধন বোধ হতে শুরু করে।তখন কেউ ঘর ছাড়ে।বিরক্তি থেকে নয়।
তবে কি জানিস তো,শেষে সকলে একই গান গায়। তুই দ্বৈত-ই মান আর অদ্বৈতই। জীবন দুই নয়,এক।
একটা বিষয় ভাবতে হবে যে, তিনি যা করার করবেন। এটা বিশ্বাস করে শান্ত হ।