September 19, 2022 - BY Admin

গুরু ও শিষ্যের ধর্ম বা ভিন্ন ক্ষেত্রে বিপরীত কর্তব্য

গুরু ও শিষ্যের ধর্ম বা ভিন্ন ক্ষেত্রে বিপরীত কর্তব্য


এমন বহুবার বহুজনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে কোন ব্যক্তি আশ্রমে মহারাজকে খারাপ, উঁচু গলায় কথা বা না জেনে বুঝেও নানা রকম ভাবে অসম্মান প্রদর্শন করে গেছেন। আর মহারাজও হয়তো উচিৎ কথা শুনিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু, ২-৪ দিন পরে তারা যদি নিজে থেকে আসে, কথা বলে, মহারাজের মধ্যে স্বভাব সুলভ রীতিতে কোন হেল-দোল নেই। এমন বহু ব্যক্তিকে বারংবার সুযোগ দেন।


 আশ্রমের জনৈক একজন অনেকবার এ ঘটনা ৫ -৬ বছর ধরে দেখেছেন। সমস্যা হলো, সে ভাবে যে "আমি তো দুটো শক্ত কথা বলে দেব মহারাজকে এমন বলার জন্য। কিন্তু দু দিন পরে মহারাজই তাকে আবার সুযোগ দেবেন। তো আমি বলে তার (ঐ ব্যক্তির) কাছে খারাপ হয়ে যাবো কেন?"

 

 একবার শারীরিক check up  করতে জনৈক একজন, মহারাজকে নিজে থেকেই Nursing home -এ নিয়ে যান ও না বুঝেই দীর্ঘ ৩-ঘন্টা মহারাজকে রাস্তায় অপেক্ষা করান। মহারাজ দাঁড়াতে চাইছেন না, অথচ ২-৪ বার বলেও সে ব্যক্তি request করছে তার personal কিছু কাজ মেটানোর জন্য, যাতে মহারাজ একটু wait করেন ও সঙ্গী ঐ আশ্রমিক যাতে মহারাজকে convince করে। 

 

আশ্রমিক ভাবছে,  কি করি? মাঝখানে দাঁড়িয়ে এবার situation এমন যে জনৈক ব্যক্তির সাথে বিবাদ হবে। মনে সংশয়। 


এমন বিষয়েই তো জীবন ভরে রয়েছে আমাদের। এমন সময় কর্তব্য কি? যিনি সহায়তা করতে এসেছেন তিনি একরকম করছেন। মহারাজ একরকম বলছেন। মন একরকম বলছে ( আজ তো শক্ত কথা বলব ঐ ব্যক্তিকে, কাল সে আসলে মহারাজ তো দাঁত বের করে কথা বলবেন, বেকার আমি খারাপ হবো।)- এমন সময় ধর্ম কি?- সে ভাবছে, এদিকে মহারাজ অধৈর্যতা দেখিয়ে বললেন, এক্ষুনি Ola ডাকা হোক, আর অপেক্ষা নয়।

অন্যদিকে জনৈক ব্যক্তির সাথে ফোনে আশ্রমিকের একরকম দ্বন্দ্ব চলছে। 


মহারাজ বললেন:-" তুই সরাসরি বলছিস না কেন?- মহারাজকে দাঁড় করাবেন না। এটা ওরই পক্ষে সঠিক নয়?- এসবও কি আমাকে শেখাতে হবে? ঝগড়া হবে তো হবে? তা বলে কি কোনো সেবা সকাম হয়ে যাবে? আচার্য্যের স্থান যদি কেউ না জানে, তাকে বোঝাতে হবে।"


আশ্রমিক:-  মহারাজ! সে তো এই culture  বুঝতেই চাইছে না?


 মহারাজ:-  তুই দৃঢ় standpoint -এ স্পষ্ট কথা বলছিস্ না কেন যে তার effort কে সম্মান কিন্তু, এভাবে deal করা যাবে না। আজকে যদি Osho কে দাঁড় করিয়ে রাখতো, তুই কি করতিস্?( ছেলেটি Osho-কে গুরু মানে। )

 

আশ্রমিক:-  কিন্তু, ২দিন পরে তো আপনিই আবার কথা বলবেন, আর আমি খারাপ হয়ে যাবো?


 মহারাজ:- ওরে মূর্খ। তুই এখনো ধর্ম বুঝিসনি। যে যার কর্তব্যে অনড় থাকবে; সুবিধা-অসুবিধা না দেখে এটাই তো ধর্ম। তুই এখানে আশ্রমের প্রতিনিধি। আশ্রম প্রধানকে যোগ্য মর্যাদা না দিলে, প্রতিবাদ, বোঝানো, শক্ত কথা বলা তোর ধর্ম, তুই তা পালন করবি। খারাপ হবে, ভাববে, শত্রুতা হবে- এসব কিছু ভাবলে নিজের জন্য ভাবা হলো। আমার স্থান গুরুর। গুরুর তো অনন্ত ক্ষমা ধর্ম। কেউ ভুল স্বীকার করে "শুধরাবো" বলে আসলে তাকে সুযোগ দেওয়া আমার ধর্ম। যদি আমি অক্ষমা দেখাই তবে তো অধর্ম, আর তুই ক্ষমা করে দিলে তোর অধর্ম। কর্মের ফল দেখিস না। কর্তাকে দেখ। আর কি মনে করছিস আমি দাঁড়াতে পারি না? কিন্তু, "অ" (জনৈক) শ্রদ্ধার, নিষ্কামতার ভাবটা বোঝেনি এখনো। সেবায় সেব্যর স্থান সর্বোচ্চ থাকবে। নিজের কিছু রাখলে তা সকাম হলো। এমন কর্ম ওকে উচ্চতা দেবে না। তাই, এক্ষেত্রে দৃঢ় বার্তা না পৌঁছালে ওর কোন উন্নতি হবে না। শুধু সেবার জন্যই সেবা-কিছু না রাখা- এটা নিষ্কামতা। এর সাথে ওর চেষ্টাকেও সম্মান জানাতে হবে। তাই স্পষ্টতা চাই। "আপনার উদ্দেশ্য ভালো, কিন্তু এখনো কিছু বুঝতে হবে"- এ কথা বলে দিতে হবে। আমাকে কে অসম্মান করবে? কিন্তু, নিষ্কাম না হলে "অ"- এর ক্ষতি। তাই বলছি, Ola ডাক্। পরিষ্কার কথা বল। 

 

Ola ডাকা হলো। জনৈক আশ্রমিকের ওপর চটলো। কিন্তু... মহারাজ দুজনের সামনেই দু-জনের কর্তব্য বিষয়ে বললেন। আশ্রমিককে বললেন, তুই কি ভাবছিলি, তোর বিপক্ষে বলবো?- না পক্ষে, না বিপক্ষে। যা ধর্মসঙ্গত তা দুজনকেই বললাম। তাতে কারোর খারাপ বা ভালো লাগার দায়িত্ব আমার নয়। সত্য সামনে আনা আমার কর্তব্য। নিজের কর্তব্য বোঝ। দায়িত্ব নিতে হলে বোধ চাই। আর দিন দিন এমন কতো আসবে- হবে।।

( আশ্রমিক ছেলেটি আশ্রমের দায়িত্বপূর্ণ পদে রয়েছে বর্তমানে।)