February 13, 2022 - BY Admin

জনগণের জাগৃতিই একমাত্র পথ

জনগণের জাগৃতিই একমাত্র পথ...


ভক্তসঙ্গ, অদ্বৈত জ্ঞান পীঠ

স্থান : দিয়াড়া

তারিখ : 17.12. 2021


পৌষের শীতের এক পড়ন্ত বিকেল। শ্রদ্ধেয় মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে এসে অপেক্ষা করছেন জনা দু-তিনেক ভক্ত। তারই মধ্যে অসম প্রদেশ থেকে এসেছেন এক ভক্ত। মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতেই মহারাজ প্রথমেই তাকে বলার অনুমতি দিলেন।


ভক্তটি উক্ত স্থানে একটি সংস্থায় কর্মরত। তিনি কর্মস্থলে কিছু সমস্যার সম্মুখীন ও তার আধ্যাত্মিক সমাধান খুঁজতে এসেছেন। তিনি তার কর্মস্থলের কিছু অনিয়মের কথা জানালেন, যা বর্তমানে কমবিস্তর সর্বত্রই বিদ্যমান। সংস্থার একটি একক হিসেবে তার কি করণীয় জানতে চাইলেন।


এর উত্তরে মহারাজ যা বললেন তা কিছুটা নিম্নরূপ-


বর্তমানে যে কোন সংস্থাই আমাদের সমাজ ব্যবস্থার অন্তর্গত একটি একক হিসেবে কাজ করে। সংস্থার অভ্যন্তরে একজন ব্যক্তি একমাত্ৰ তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ীই চলতে পারেন। এই নির্দেশের শৃঙ্খল ধরে এগোতে থাকলে দেখা যায়, যিনি সংস্থার সর্বময় কর্তা, তার হাতেই সব দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে এবং তিনিও সেইরূপ নির্দেশই দিতে পারবেন, যা আমাদের তথাকথিত প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় স্বীকৃতি পায়। নতুবা তাঁর এই সংস্থাটি এই বাজারে ভেঙে পড়বে। আর যেহেতু আমাদের বর্তমান সমাজে ভোগ এবং ভোগের সুবিধাহেতু পদলেহনই বেশি, তাই সংস্থার সর্বময় কর্তার পক্ষে সঠিক ও ঔচিত্তমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভবপর নয়। এখানে একটি গোটা তন্ত্রব্যবস্থা একজন ব্যক্তির উপর ভারী পড়ে। তাই, একজন কর্মচারীর কাজের স্বাধীনতা নেই। এর জন্য জনগণের জাগৃতি ব্যতীত অন্য পথ খোলা নেই।



একথা শোনার পর ভক্ত পুরো বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত হলেন ও বর্তমান করণীয়তার নিরিখে নিজেকে বিচার করতে পারলেন। অন্যান্য ভক্ত ও আশ্রমিকরা ততক্ষনে কর্মশৃঙ্খলের এই পরিধি দেখে অবাক!!!