September 15, 2023 - BY Admin

দর্শকই আনন্দের অধিকারী

আগের দিনের Blog টা যখন পড়ছিলাম ( সাধকের ত্যাগ ) তখন হঠাৎ ত্যাগের বিষয়ে একটা অন্যদিক আমার মাথায় এলো। চলে গেলাম মহারাজের কাছে আলোচনায়।

মহারাজকে সমস্ত প্রেক্ষাপট বুঝিয়ে বলার পর নিম্নলিখিত ভাবে শুরু করলাম।


আমি: ধরুন একজন সাধারণ মানুষ সে প্রত্যেকটা জিনিসকে এত গভীর observe করেছে যে, সে এমন কিছু টেকনিক শিখে গিয়েছে তাতে প্রত্যেকটা জিনিসের phillosophy বুঝতে পেরে গেছে।  কোন আনন্দ permanent নয় কিন্তু আনন্দ তো পাচ্ছে, এবার সে প্রত্যেকটা জায়গা থেকে conciously আনন্দগুলো pick করছে ...


মহারাজ : (থামিয়ে দিয়ে বললেন) আনন্দ বলতে শুধু উপভোগ নয়, প্রত্যেকটা জিনিসের মধ্যে আনন্দ দেখে নেওয়ার অর্থ তুমি witness হয়ে গেছো। তুমি যেটা বললে, এটাতে অনেক সময় ভুল হতে পারে যে। আনন্দ করতে গিয়ে সে জগতের প্রত্যেকটা জিনিসে জড়াচ্ছে, তাহলে আবার কিন্তু দুঃখে পরিণত হয়ে যাবে।কারণ,তুমি একাই dynamic,আার বাকি সব static থাকবে,তা তো নয়।সবকিছু একে অপরকে প্রভাবিত করছে।তাই,জীবনের সহজ আনন্দ যে witness হয়ে বাঁচছে সেই মাত্র pick করতে পারবে।নাহলে সুখ-দুঃখের কর্তৃত্বে জড়িয়ে পড়বে।


আমি: ধরুন কেউ কারোর সাথে প্রচলিত প্রেম করছে। এবং তারপর সে তাকে দেহসম্ভোগ করেছে কিন্তু সে জানে "সম্ভোগ বেশীক্ষণ না, এই ব্যক্তি আমায় ছেড়ে চলে যেতে পারে"। এবার তাহলে যখন সত্যিই ছেড়ে গেল তখন তো relaxation।


মহারাজ: (তৎক্ষণাৎ) বিপরীত ব্যক্তিটি বিয়ে দাবি করতে পারে,courtcase ও করে দিতে পারে,police complain,social media তে বলতে পারে, মানবাধিকার কমিশনে যেতে পারে,না গিয়ে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। 



তোমার প্রজ্ঞা তোমাকে বলবে যে "আমি যে standpoint থেকে কাজ করছি,সেটা আমার ব্যক্তিগত। সেই standpoint আরেকজনের নাও হতে পারে!! Everyone is free to think about. তখন প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি এমন ভাবেই জগতে হাত দেবে, যেন তার হাতে কাদা না লাগে,যেন জড়িয়ে না পড়ে।


আমি: এটা তো ঠিকই বলেছেন।ব্যক্তি all-over ভাবছে, যেন জড়িয়ে না পড়ে জগতে। কিন্তু, একজন ব্যক্তি জানে যে, ঐ জিনিসটি থেকে আমি যতটা আনন্দ পেতে পারি ততটা নিয়ে নেব, ব্যাস! এমন ভাবেই প্রত্যেকটা জিনিসের ক্ষেত্রে তাই করবো,এটা কি সম্ভব?



মহারাজ: অবশ্যই সম্ভব! তবে এটা মাথায় রাখো,বাকিরাও এটাই চাইছে।" কি করে মজাটা লুটে নেব।"এ দুইয়ের সংঘাতে কে কি পাবে তা কেউ জানে না। আবার একজনের প্রকৃতি এরকমও হতে পারে যে, সে কিছুই চায় না তাই বিন্দাস আছে। দুটোই সম্ভব। এক্ষেত্রে শান্তি ultimate কথা বলবে। ব্যক্তি শান্তিতে থাকলে অবশ্যই সব সম্ভব।


আমি: তার মানে জগত জগতের মত চলছে। সব তোমার দৃষ্টিকোণের উপর নির্ভর করছে।



মহারাজ: জগৎ একদিক থেকে লীলা। অন্যদিক থেকে Nothing। তুমিই একে validity দাও। একে যদি মানে( অর্থ )  দিতে হয়, তবে জানো যে, জগত প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে তো মানেও বদলাচ্ছে। তুমি যখন একটা বিন্দুতে এসে, একটা মানেকেই শক্ত করে ধরে ফেলবে,তখন সমস্যা শুরু হয় । Even বলতে পারো, তখন জগত সৃজন হয়। না হলে জগৎ বলে কিছুই নেই।