আমরা একটি বিশিষ্ট মন্দির দর্শনে গিয়েছি।
দর্শন করে ফিরছি।এমন সময় একজন সদ্য দীক্ষা প্রাপ্ত শিষ্য মহারাজকে জিজ্ঞাসা করলেন,
তাহলে মহারাজ,এই আধ্যাত্মিক জীবনের চলনে নিজেকে ঢালতে সময় লাগবেই!
তিনি- দেখো,তুৃমি পরমাত্মা স্বয়ং। তুমি যদি বলো," আমার সময় লাগবে।"- তাহলে জেনো,পরব্রহ্ম নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সময় নেওয়ার।আবার তুমি যদি বলো,"এক্ষুনি হোক্"- তাহলে সেটাও তুমি নয়,পরব্রহ্ম নিজেই তোমার মধ্য দিয়ে নির্ণয় করেছে এই মুহূর্তের প্রজ্ঞাকে।সব তোমার উপর।কারণ,তুমিই সেই।আর এটা কথার কথা নয়।আমার অনুভব বললাম।
শিষ্য- কিন্তু,আমি বললে বা ভাবলে, হয় কোথায়?
তিনি- হয় না কোথায়? তুমিই সিদ্ধান্ত নাও- তুমি বলো," এটা করবোই"। করো কিনা?
আবার সেই একই ক্ষেত্রে তুমিই দো-মনা হয়ে বিষয়টাকে স্থগিত করো কি না বলো?
শিষ্য - হ্যাঁ।
তিনি- লক্ষ্য করো,করা বা না করে দ্বন্দে থাকা- এ দুটোকে তুমিই validity দিলে।তাহলে বলো,পুরো জীবন তোমার সৃজন নয় কি?
শিষ্য - হ্যাঁ।তাই তো দেখছি।
তিনি- তোমার হ্যাঁ বা না এর উপর কোন দ্বিতীয় সত্তা কাজ করেই না। যাকে বাধ্যতা বলো,সেখানেও দেখো,তুমি বাধ্যতাকে "হ্যাঁ" বলেছো।তাই বাধ্য হয়েছো।
শিষ্য- ঠিকই তো!
তিনি - শুধু ভ্রম হলো,নিজেকে ব্যক্তি ভাবা।ব্যক্তি দায়িত্ব নেয় না।পরিস্থিতিকে দায়ী করে।তুমি সমস্ত দায় নাও,দেখো কেমন আপনিই জীবন বদলায়।পূর্ণ দায়িত্বই পরমাত্মা হয়ে যাওয়া।নাহলে ত্রিভুনের দায় কে নেয়? একজন প্রকৃত ভক্তই বলতে পারে,"যা করেছি,আমিই করেছি, no one to blame."
পূর্ণ দায়িত্বই পূর্ণ মুক্তির সূত্র।এটা মাথায় রেখো।