ঘুরতে ফিরতে মহারাজকে একজন জিজ্ঞাসু বললেন, তার নাকি চাকরি করতে ইচ্ছা নেই।
তিনি তৎক্ষণাৎ বললেন, "চাকরি-বাকরি কেন করবি?"
সে তখন বলল এই শারীরিক প্রয়োজনীয়তা নির্বাহের জন্য। যেমন খাওয়া-দাওয়া; পোশাক পরিচ্ছদ ইত্যাদি।
তখন মহারাজ বললেন- "শরীর কি?"
সে বলে - শরীর বলতে এই দেহটা।
তিনি আবারও বললেন - "দেহটা কি?"
সে বলল - হাড়-মাংস।
তিনি বলে উঠলেন - "হাড় মাংসটা কি?"
ব্যক্তি তখন চুপ।
মহারাজ বললেন,"সেই এক চৈতন্য, স্থূলভাবে প্রকাশ পেয়েছে। সেই চৈতন্য ছাড়া আর কিছুই নেই। তো যে যাই করুক না কেন,সেই চৈতন্যেরই সেবা করছে। এছাড়া কিছু করণীয় নেই। সবকিছুর মধ্যে সেই আনন্দময়কে দ্যাখ্।
যে যাই কাজ করছে,জানা-অজানা সবাই সেই একের সেবাই করছে । খাবার খাওয়া মানেও কিন্তু তাঁরই সেবা।রামপ্রসাদ গানেই তো বলছেন—“আহার করো মনে করো, আহূতি দিই শ্যামা মা রে।” আবার যে বিয়ে করছে, দেহসঙ্গ করছে,সেও সেই একের সেবা-ই করছে।দুটি বিপরীতের সম্মিলনই তো জীবনের লীলা!সে লীলার সহায়ক হচ্ছে। তবে,কেউ জেনে করছে আর কেউ না জেনে করছে।
তখন তিনি আবার বললেন - "যাই করিস না কেন যেখানেই থাক না কেন ; পূর্ণতঃ বাঁচ—গভীরে গিয়ে দ্যাখ্। বুদ্ধিমান, পরিস্থিতি থেকে পালায় না।পরিস্থিতির আরো কাছে,গহনে গিয়ে জীবনের নির্যাস চেখে নেয়।একেই বলে ধ্যানীর চোখ।