March 22, 2022 - BY Admin

নিজের দায়িত্ব, নিজে নাও।

নিজের দায়িত্ব, নিজে নাও।




একবার এক ভক্তের বাড়ি থেকে ফিরছি, সঙ্গে রয়েছে বাকি সকল আশ্রমিক এবং মহারাজ। তখনও ঠান্ডা রয়েছে ভালোই। ট্রেনের ফাঁকা সিট পেয়ে, যে যার মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসেছে। আমিও শীতের ঠান্ডা আমেজে একটা জানলার ধার দেখে বসে স্বামীজীর 'বীরবাণী' পড়তে পড়তে আর জানলার ফাঁক দিয়ে গ্রাম বাংলার মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে ফুরফুরে মেজাজে যাত্রাপথে এগিয়ে চলেছি। 


এদিকে আশ্রমে ফিরে আসার রাত থেকেই আমার ধুম জ্বর। বেশ বুঝতে পেরেছি, খোলা জানলা দিয়ে যে ঠান্ডা বাতাস দুপুরে বেশ উপভোগ্য বলে মনে হয়েছিল, তাইই এখন যন্ত্রণার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! রাতে ওষুধ আর অল্প কিছু মুখে দিয়ে, বিছানায় লেপ জড়িয়ে শুয়েও গোটা রাত প্রায় অনিদ্রায় কাঁপতে কাঁপতে কাটিয়েছি।


রাতটা কোন মতে কাটবার পর, সকালে সবে মাথা তুলে কোন মতে উঠে বসতে না বসতেই, ঘরে মহারাজের প্রবেশ। 


গায়ে আর জ্বর নেই শুনে মনে হয় খানিক নিশ্চিন্ত হবার পর, অতি শান্ত স্বরে মাত্র কয়েকটি কথা বলেই ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন। প্রতিটি শব্দ এখনও আমার কানে বাজে ..


"সাধু হতে এসেছ, নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে শেখ। পরনির্ভরতাই নয়তো তোমার বন্ধনের কারণ হবে, ছেলেমানুষী কমাও।"


সত্যিই, মন নিতান্তই ছেলে মানুষ, ছেলে মানুষ বললেও খুব কম বলা হয়। মন সর্বথাই অবিবেকী! যে মনের গোলাম হয়ে যায়, প্রকৃতি তাকে পদে পদে কাঁদায়।