বিগত পাঁচ বা ছয় বছর ধরে নেতাজির লেখা বই পড়া শুরু করেছি। সেখান থেকেই গীতার প্রতি আগ্রহ জন্মায়। অবশেষে ইউটিউবে YRT ক্লাসের কথা জানতে পারি। প্রথম দিন এসেই শুনলাম - "হতো বা প্রাপ্স্যসি স্বর্গং ... " । তারপর তো তার সাথেই জীবনের প্রতিটা ক্ষণ কাটানো শুরু করে দিলাম। এরকমই কিছুদিন আগে ওনার সাথে Long drive এ ঘুরতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম -
আমি - নেতাজির বই পড়া বা নেতাজি সম্মন্ধে জানা কি আমার সবচেয়ে বড় ভুল? কারণ আমি লক্ষ্য করছি যে অন্যদের প্রতি বিদ্বেষী হয়ে পড়ছি দিনের পর দিন।
তিনি - (প্রশ্ন শেষ হতে না হতেই) মোটেই না! আমাদের মনের tendency বোঝো, মন সবসময় extreme বোঝে- হয় এপার, না হয় ওপার । তুমি নেতাজিকে পড়ে ভুল করনি , শুধুমাত্র নেতাজির বই পড়ে ভুল করেছো। আরো স্বাধীনতা সংগ্রামী আছেন তাদের লেখাও পড়ো তবে সমসাময়িক বিষয়ে এবং ওনাদের ব্যক্তিগত approach সম্বন্ধে আরো clarity পাবে। যেখানে Clarity সেখানে ঠিক বা ভুল কোন ইস্যু থাকবে না।
আমি - আমি শুধু নিজেকে ভারতের মধ্যে আটকে ফেলি ।ভারত ছাড়া অন্য কোন দেশের নাম শুনলে , মনে তাদের প্রতি একটা বিদ্বেষ ওঠে এটার কি কারণ?
তিনি - ভারতকে তুমি একটা নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে বেঁধে ফেলছো, তাই এরকম হচ্ছে। চীন জনসংখ্যায় বেশি, আমেরিকা জিডিপিতে, জাপান টেকনোলজিতে উন্নত তবে ভারতের কি জিনিস আছে যা আমাদের এগিয়ে রাখে?
আমি - আধ্যাত্মিকতা - বেদ, উপনিষদ , গীতা এই সব বইগুলোর নির্যাস।
তিনি - আবার সেই আধ্যাত্মিকতা আমাদের শেখায় - বিস্তার , ক্ষুদ্রতার গণ্ডি ভাঙার কথা বলে। দেখো তোমার মধ্যে যে কাম, ক্রোধ, ব্যথা, দুঃখ, ভালবাসা আছে তা জগতের সব মানুষের মধ্যেই আছে , এটা শুধু ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তো ভারত যদি কোথাও বড় হয়ে থাকে তা দেশ, কালের গণ্ডি ভেঙে মানব মন নিয়ে কথা বলার জন্য। এত গভীর জীবন সম্পর্কে পর্যালোচনা ঋষিরা করেছেন আর আমরা সেই দেশে জন্মেছি তাই আমরা সৌভাগ্যবান। ব্যাস্ এইটুকুই !
যথার্থ মূল্যায়ন কাকে বলে তা আমায় শিখিয়ে দিলেন। তিনি যেন বুঝিয়ে দিলেন - Expansion is life অর্থাৎ প্রতি পদক্ষেপে বৃহৎকে Choose করাই জীবন।