সেদিন ঘুরতে ঘুরতে মহারাজ সরাসরি জ্ঞান পীঠের অফিসে এসে উপস্থিত। কথা চলতে লাগল আশ্রমের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে। হঠাৎ উদাহরণ দিতে গিয়ে বললেন - "দেখো না,অর্জুন চাইলেন স্বয়ং নারায়ণকে আর দুর্যোধন যেহেতু স্থূল বোঝে, তাই সে নারায়ণী সেনাকে চাইছে।
যখন আমরা স্থূল বুঝি,তখন আমরাই দুর্যোধনের প্রতিমূর্তি।আবার যখন আমরা কোন ঘটনার অসারভাগটা ফেলে সার নিতে শিখবো,তখন আমরাই অর্জুন। নারায়ণী সেনা, যা কিনা নারায়ণ থেকেই সৃষ্ট। অর্জুন কিন্তু প্রচন্ড বুদ্ধিমান ব্যক্তি ছিলেন এবং নিজেকে প্রজ্ঞার জন্য যথোপযুক্ত বানিয়েছিলেন কৃষ্ণের সমীপে বসার জন্য।
আমি :- এতই যদি বুদ্ধিমান ছিলেন তবে গীতা বলার কি প্রয়োজন ছিল?
মহারাজ :- দেখো,মহাভারতে অর্জুনের যুদ্ধ করাটা আমরা যেভাবে দেখি,তা সর্বাঙ্গীণ নয়।অর্জুনের লড়াটা খুব একটা সহজ ছিল না। ১২ বছর বনবাস, ১ বছর অজ্ঞাতবাস,লাক্ষাগৃহ জ্বালানো,ভীমকে বিষ খাওয়ানো,স্ত্রীর সম্মানহানি প্রভৃতি ঘটনা ঘটে গেছে অর্জুনের সাথে। এসব মিলিয়ে জীবনের যে cream সময় সেটা কাটাতে হয় তার আত্মীয়, পরিবার-পরিজন থেকে দূরে। এসব সত্ত্বেও যাদের একটু warm hug পেয়েছিলেন তারা হলেন পিতামহ ভীষ্ম, গুরু দ্রোনাচার্য এনাদের মত ব্যক্তি।
কিন্তু,দুর্ভাগ্যের বিষয় এনারা অধর্মের পক্ষে।এখন এদেরই বিনাশ করতে হবে।এ যেন নিজের অস্তিত্বটাই কেড়ে নেওয়া।
শ্রীকৃষ্ণ তাই গীতা বললেন এবং শেষতম যে নিজের বুদ্ধি,দেহের সম্পর্করূপ বন্ধন তাও ছিন্ন করে মুক্তি পেতে সহায়তা করলেন।