April 01, 2024 - BY Admin

বুদ্ধি নাকি বোধ

সন্ধ্যাবেলায় পাঠ করে উঠেছি। উঠেই গেছি মহারাজের ওষুধ নিয়ে তাঁর রুমে। তিনি ওষুধটা হাতে নিয়ে বললেন --জানিস্, high intellectual ব্যক্তিরা সব কাটতে কাটতে শেষে নিজেকেও কেটে ফেলে। সে ভুলে যায় এই যে, মায়ার বাঁধন কাটতে কাটতে, এগুলোর কারণ যেন সে আবিষ্কারের করতে পারে। কিন্তু,সে শেষে নিজেকেও কেটে ফেলে।যেমন ধর - কোন ব্যক্তির মধ্যে অশান্তি হচ্ছে আর সে তৎক্ষণাৎ বুদ্ধির প্রভাবে হয়তো সেই অশান্তির কেন্দ্রে চলে যাবে।গিয়ে আবিষ্কারও করে ফেলবে অশান্তির কারণ কি?


 কিন্তু, ঐ তীব্র বুদ্ধির কারণেই তখন সে বলবে শান্তি আর অশান্তি দুটোই তো মিথ্যা।


 ঠাকুর যেমন বলেছিলেন, বিদ্যামায়া সর্বশেষ মায়া কিন্তু তাকে ছেড়ে ব্যক্তির দাঁড়ানো মুশকিল হয়ে যায়। এটাই সেই যেখান থেকে ঘরে ঢুকতেও পারো আবার বাইরের জগতে বেড়াতেও পারো।


        Highly intellectual ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এটা একটা বিশাল বড়ো অসুবিধা যে তারা বুদ্ধির দোধারী বিষয়টা দেখেই না। ফলে কতদূর বুদ্ধি এগিয়ে থাকবে, সেই বোধটাই নেই। আমাদের পিছনের জায়গাটাতে গাছ কাটার একটা Chainsaw এসেছিল দেখেছিলি?


     ‌আমি:- হুম্।

   

দুদিকেই কাটে, কত Advanced technology বলতো? কিন্তু সেটা যেন গাছ কাটতে কাটতে নিজের যে electric connection সেটাকেও কেটে ফেলেছে। ঠিক এই বিন্দুতে সর্বোচ্চ বুদ্ধিমান ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি বোকা হয়।

আবার বলতে পারিস্,এটাই ফারাক সূক্ষ্ম বুদ্ধি ও শুদ্ধ বুদ্ধির মধ্যে। 

জীবনে সর্বাগ্রে চাই শুদ্ধবুদ্ধি। তারপর যদি সূক্ষ্ম হয় খুব ভালো।কিন্তু,প্রথমটা ছেড়ে দ্বিতীয়টা নৈব নৈব চ।