December 02, 2023 - BY Admin

মা

তিনি(মহারাজ) ও আমি বাগানে ঘোরাঘুরি করছিলাম। হঠাৎ কথার ফাঁকে উঠলো ঠাকুর এবং স্বামীজির কথা।


তিনি বললেন - "ঠাকুরের কথাগুলি শাশ্বত ও চিরন্তন। এই কথাগুলি চিরকালীন।তাই,দীর্ঘদিন সমাজে থাকবে। কিন্তু স্বামীজির যে কাজ (স্কুল, কলেজ, দরিদ্রনারায়ণ সেবা ইত্যাদি) খুব বেশিদিন টিকতে পারে না।কারণ,তা এক নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু,

 "নাহি সূর্য, নাহি জ্যোতি"-এর রচয়িতা যে স্বামীজি,মানব মনকে পড়ে যে দিশা দেওয়া স্বামীজি,তিনি সেই একই শাশ্বত, সনাতন ধারাতে বয়ে চলবেন। 


আমি বললাম - এই জিনিসটা কি স্বামীজি জানতেন না?


তিনিঃ হ্যাঁ জানতেন।কিন্তু, প্রকৃতি মা ঐ Body-mind এর মধ্য দিয়ে কিছু নির্দিষ্ট কাজ করিয়ে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে কারও কিছু করার নেই। ঐ বোধটা ভিতরে ছিল, যার দ্বারা এই কাজগুলো পরিচালিত হয়েছিল।


আমি বললাম-  স্বামীজি যে মনকে মায়া বলেছেন, "সিংহের মত বেরিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন তারপর 'আমিই সব পারি' - এ ধরনের যে কথাগুলি সেগুলি আমার খুব ভালো লাগে।


তিনি বললেন - তা ভালো।তবে,"জীবনে এমন কিছু পদক্ষেপ নিস্ না,যেখানে মা মহামায়ার ভ্রু কোঁচকায়।"তোরা কেন পত্রাবলী পাঠ করতে করতে অর্দ্ধেক রাস্তায় বন্ধ করে দিলি?"


আমি বললাম - "ওত দুঃখ কষ্ট স্বামীজির মত ব্যক্তি পাচ্ছেন, সেই দেখে।"


তিনি বললেন - "তার কারণ জানিস? ঐ সর্বময়ী মায়ের উপেক্ষা করা। জগতে পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টা করা।যদিও সব ইচ্ছাই তাঁর ইচ্ছা,তবুও ব্যক্তিসত্তাকে এতে বড় যন্ত্রনা পেতে হয়।  তোমার,আমার জন্মের বহু আগে থেকে এই জগতসংসার চলছে আর তুমি জগৎ পাল্টাতে চাইলে কি করে হয় ?এ এক নিরন্তর ধারা।


 মা যদি চান তাহলেই হবে। তাইতো ক্ষীরভবানীতে স্বামীজির চট্কা ভাঙলো। স্মৃতি ফিরে এলো এবং তিনি তারপর মায়েরই সব ভার,তিনিই মূলকর্ত্রী, বুঝলেন।ঐ দেহের purposeশেষ হলো ও তিনি শরীর ত্যাগ করলেন।