September 17, 2024 - BY Admin

মা এবং আমরা

মহারাজের সাথে আমি আমাদের বোলপুরের tour- এ এসেছি। মহারাজের সান্নিধ্যে আসার এক সুন্দর সুযোগ পেয়ে গেলাম। 


আশ্রম বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে উনি বললেন - "দেখো! এত originality দিয়ে আশ্রম চলে না।জগতের কোনো কাজ এমন অজাগতিক attitude দিয়ে চলে না।" বলেই উনি গেয়ে উঠলেন, " যে তোমার নাম করে, তার কপালে হাড়-মালা জোটে।" 


এত শুদ্ধতাতে মায়ের খেলা থেমে যায় যে! ভেজাল মেশাতে হবেই।   বিদ্বেষ, অভিযোগ, সমস্যা, কামনা এগুলি দিয়েই মায়ের খেলা চলে। আর আমরা খেলতে মত্ত নই। মাকে চাই, খেলা চাই না। এবার কী করে আশ্রমের জাগতিক দিকগুলো এগোবে বলো!! এটা জানি বলেই, যা, যতটুকু হয়েছে, হচ্ছে তাতে আমি overwhelmed. এগুলোই হলো কী করে, তাতে আমি বিস্মিত।


একটু থেমে বললেন, দেখো ! আমি যে তোমাদের ওপর বা অন্য ব্যক্তিদের ওপর রেগে যাই বা "যা ভালো বুঝিস কর", "তোমার জীবন তুমি দেখে নাও" ইত্যাদি কথাগুলো বলি, তা খুব surface লেভেলের কথা। ভেতরে আমি জানি যে, ব্যক্তির দ্বারা অতটাই করা সম্ভব, এর বেশি পারবে না। এভাবে আমাদের সাথে কজন টিকবে বলতো? Even তোমাকে যে এইসব কথা বলছি, তুমিও আমার সাথে থাকার কথাই নয়। 

মা যে সর্বগ্রাসী, সকলকে একদিন মায়ের কোলে যেতে হবেই। কী তুমি, কী আমি! তোমাকে রেখেছেন, তাতেই আমি কৃতজ্ঞ। তাই, কাল তুমি বা কেউ না থাকলে কী করে অভিযোগ করি!!এই originality-কে কেন্দ্রে রেখে যতদিন তুমি আর আমি এগোবো, ততদিনই আমাদের সম্পর্ক।


তবু, মা যে এতকিছু দিয়েছেন (জ্ঞান পীঠে), একে ভালোবেসে আগলে রাখো।


আমি:  capacity এর বড্ড অভাব।


মহারাজ বললেন, অনধিকারী আমরা। যে understanding আমার, আমি তো সব থেকে বেশী অযোগ্য। পরমাত্মাকে চেয়ে, এত কিছু!!!! Donation আসার কথাই নয়; কিন্তু, দেখো প্রতি মাসে টাকার কোনো অভাব তো হচ্ছে না। চলে তো যাচ্ছে। এসব জগদম্বার করুণা। তাই, জ্ঞানপীঠে মায়ের আরাধনা।


এই বলে তিনি বললেন, চলো শুয়ে পড়ি। আমিও সম্মতি জানালাম।


তাঁর রুমের দরজা বন্ধ করে আমার রুমে আসছি, এমন সময় হঠাৎ তাঁর দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কন্ঠে শুনতে পেলাম - 'মা'!