সকালে মহারাজের সাথে কথা হচ্ছিল মন খারাপ প্রসঙ্গে, যে এখন আর আগের মতো বাড়ির লোকের সাথে attached ভাবে মিশতে পারছি না বা বাড়ির লোক ইয়ার্কি করলে, মন থেকে না চাইলেও বিরক্তি উঠছে—ভালোভাবে মিশতে পারছি না।
মহারাজ বললেন সে কিরে! বাড়ির লোকের সাথে মেলামেশা থাক্ না—আনন্দ কর্। ঐ মুহুর্তে বাঁচ।ঐ সময়ের হয়ে যাস্ না।সময়,ঘটনা,ব্যক্তি,স্থান-কাল বয়ে যাক্।তুই যখন যেমন স্থিতি আসছে,তাতে সাড়া দে।প্রতিক্রিয়া দিস্ না।
আমি আবারও বললাম যে, সাময়িকভাবে হয়তো অর্থ উপার্জন করলে ভালো তো লাগবে। কিন্তু,সেটা এক বৎসর পরে মন থেকে হাফ্ উঠবেই—ভালো লাগবে না। আমি এরকম জীবন আমার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে আমি দেখেছি। কিংবা পরবর্তীকাল এরকম যদি হয় যে, আমি আর হয়তো অধ্যাত্মের দিকে আসলামই না— ওই জীবনেই রয়ে গেলাম, তখন কি হবে?
মহারাজ বললেন,আগে থেকেই কিছু assume করছিস কেন? কারো জীবনে কি হবে, কোথায় যাবে, কারো assumption-এ চলে না। কারও জীবন যদি যোগের জন্য প্রকৃতি নির্মাণ করে,তাহলে সে যেখানেই থাক্ না কেন—যাই করুক না কেন; ঘুরে ফিরে সেই যোগের দিকেই আসবে। সেজন্যই তো গুরু,সৎসঙ্গ এসবের থাকা। মানুষের মধ্যেই যোগস্থতা থাকে। কিন্তু,গুরু ইত্যাদির মাধ্যমে সহায় তা ঘটে,সেটা প্রকাশ পায়। আর কাউকে মা যদি অন্য কিছুর জন্য নির্মাণ করে, তার জন্য সেটাই হবে-সেটাই ঘটবে। তুই বা আমি আগে থেকেই চিন্তা করে অন্য কিছু করতে পারবো না।