দিনটা ছিল ২০শে মার্চ,২০২২, অদ্বৈত জ্ঞান পীঠের (স্ত্রিয়: সমস্তা:) শাখায় মহারাজ এসেছেন যোগবাশিষ্ঠসারঃ এর সাপ্তাহিক ক্লাস করাতে। ক্লাস শেষে প্রার্থনা, আশ্রম এর মাননীয়া অধ্যক্ষা ব্রহ্মচারীনী মধুরিমা মাতাজী ও অন্যান্যরা মহারাজের উপস্থিতিতে তবলা, খনজনি সহকারে মধুর সুরে অতি সুন্দর ভাবে প্রার্থনা সম্পন্ন করছেন। প্রার্থনা শেষে অনেকেই মহারাজকে প্রণাম করে বিদায় গ্রহণ করছেন। কিছু ভক্ত এখনো মহারাজের কথা শুনছেন, তাদের মধ্যে পূজনীয় মাতাজীও উপস্থিত। মহারাজ এবার আশ্রমে ফিরবেন। এমন সময় মাতাজী বললেন মহারাজ আমার একটা অভিযোগ আছে। মহারাজ হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন কি অভিযোগ?
মাতাজী- আপনার আশ্রমের ব্রহ্মচারীরা কেউ blog লিখতে help করছে না (সহাস্য বদনে)।
মাতাজীর হয়তো মনে হয়েছিল মহারাজ জিজ্ঞেস করবেন কেন ওনাকে help করা হচ্ছে না, কিন্তু ব্যাপারটা ঘটলো সম্পূর্ণ বিপরীত। মহারাজ উল্টে মাতাজীকে প্রশ্ন করলেন, তুমি এতে হাসছো কেন? মাতাজী চুপ!!
মহারাজ :- তোমার উপর blog লেখার ভার দেওয়া হয়েছে, কাকে দিয়ে লেখাবে তা তোমার দায়িত্ব। তোমার এখানে হাসি সাজেনা। এক্ষেত্রে তো তোমার সবচাইতে বেশি রেগে যাওয়া উচিত। এখন কোথায় গেল তোমার তেজ, ঝাড় দিতে পারো না?
ফিরে আসার সময় মাতাজী চোখ গোল গোল করে বললেন, "অনিকেত আমার কিন্তু কালকে blog চাই আর আমি মজা করছি না"। পরবর্তীকালে মহারাজের ভাবটা, কথাগুলো বুঝতে পারি।
মহারাজের মূলভাব খানিকটা এই ----
"তুমি যে কাজকে প্রাধান্য দেবে স্বভাবতই পারিপার্শ্বিক পরিবেশ তোমার সেই কাজের অনুকূল হয়ে যাবে। আর যদি দেখো সেই পরিস্থিতি ক্রমাগত প্রতিকূল হচ্ছে তাহলে জেনো তুমি সেই কাজকে প্রাধান্য দাও নি, অথবা সঠিক পদক্ষেপ নাওনি।