আজকে আমি বিবেকচূড়ামণির ভিডিও রেকর্ডিংয়ের জন্য ক্যামেরা চালু করতে যাবো,এমন সময় মহারাজ ঢুকলেন রুমে। এসেই বললেন - "তোর এখানে ১ বছর তো হয়ে গেল। তাই,আগামী মহালয়ার দিন তোর কচ্ছমুক্ত হবে, তার আগের দিন অ-----কে দিয়ে মাথা কমিয়ে নিবি । তারপর একটা নতুন ধুতি আর নতুন উত্তরীয় নিয়ে আসবি আমার কাছে।"
আমি: ঠিক আছে, কিন্তু এই কচ্ছমুক্তি ব্যাপারটি কি? এটা কেন করা হয়? আর মুক্ত করার কি দরকার?
মহারাজ :দেখ্, সাধকের পুরো জীবন ধাপে ধাপে চেতনার উচ্চতর স্থিতির যাত্রা।এসব rituals তার প্রতীক।
ব্রাহ্মণের ত্রি-কচ্ছ থাকে, শিখা রাখা হয়। কিন্তু আমাদের তো এক জায়গায় আটকে থাকলে চলবে না, ধাপে ধাপে সন্ন্যাসের দিকে এগাতে হবে।( নিজের মুন্ডিত মাথা ও কাপড় দেখিয়ে বললেন)শেষে শিখা চলে যাবে, ধুতি থেকে ডিজাইন চলে যাবে। এমনকি শেষে,যেমন নানা রঙ থেকে সাদা হয়েছে,সেটা গিয়ে মাটির স্বাভাবিক রঙ বা গেরুয়া চলে আসবে। ত্রিকচ্ছ তিনগুণের প্রতীক, তা থেকে মুক্ত হওয়া।সন্ন্যাসী তাই কাছা দিয়ে কাপড় পরে না।মাথায় রাখিস্,এসব এক আন্তরিক যাত্রার প্রতীক।গুরু ১ -২- ৫- ১০ বছরে মোটামুটি maturity দেখে এইভাবে এগিয়ে নিয়ে যান।
প্রথমে শিখা রাখা হয় , তারপর ঐ শিখাই কেটে ফেলা হয়। প্রথমে ধুতি পরানো হয়,তারপর তাই খুলে দেওয়া হয়, তারপর ব্রহ্মচর্য দীক্ষা সম্পন্ন হয় এবং সবশেষে সন্ন্যাস।
এখানে ভাবটি হলো - ব্যক্তি ধাপে ধাপে চেতনায় উন্নত হচ্ছে, সে পরিণত হচ্ছে। আমরা ধীরে ধীরে যে এগোচ্ছি এটা তার একটা স্থূল প্রকাশ এবং শেষে যখন সিদ্ধান্তের স্তরে ব্যক্তি জীবন বাঁচে, তখন হয় সন্ন্যাস। ঠিক আছে ?
আমি: হুম্।