সাবধান, সদা সাবধান
অদ্বৈত জ্ঞান পীঠ
স্থান: দিয়াড়া
তারিখ: ১৬.০২.২০২২
আজ দুজন মহিলা ভক্ত এসেছেন মহারাজ এর সাথে দেখা করতে। ওনারা আগেও কয়েকবার এসেছেন। ওনাদের কথায় জানতে পারলাম, ওনারা মহারাজকে গুরু মেনে সত্যের হয়ে কাজ করার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান।
প্রথমে মহারাজকে গান নিয়ে প্রশ্ন করলেন তারা...
আপনি এতো সুন্দর গান কিভাবে করেন? কোথায় শিখলেন এমন গান?
উত্তরে মহারাজ খুব হাসলেন এবং বললেন.....
" আমি কখনো গুরুজীর কাছে গান শিখিনি। শুধু ভালোবেসে গান করি, এটুকুই.. মঠে থাকাকালীন শুনে শুনে গান করতাম। এক মাস গান শিখেওছিলাম..
ব্যাস্ এই পর্যন্ত..
ভক্তরা অবাক!
এবার অন্যজন প্রশ্ন করলেন,
মেয়েরা অনেক সাংসারিক যন্ত্রণার বাধা কাটানোর পরেও বারবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঝুঁকে যায় কেন? এই tendency কেন এতো বেশি কাজ করে তাদের মধ্যে?
মহারাজ : এটা মেয়েদের একটা প্রকৃতিগত বাহ্যিক বাধা। কিছু একটা হলো, অমনি চট্ করেই সেই দিকে নির্ভরশীল হয়ে পড়া..
শরীর যতদিন থাকবে এই নির্ভরতার বা বন্ধনের tendency যাবে না। আবার যে কোন দিকে ঝুঁকে পড়াই বন্ধন। তাই বাইরের বন্ধন কাটিয়ে উঠলেও ভিতরে একজন আছে যে সবসময় বলবে, সুবিধা আছে তো বন্ধন মেনে নাও।
জগতে একমাত্র সঠিক মানুষ তাকেই বলা যায়, যে আপনাকে মুক্তির দিকে নিয়ে যায়। তবে এই রকম মানুষ জগতে বিরল।
মানসিক অবস্থা প্রতিটা মানুষের ভিন্ন ভিন্ন হয়। আর এটা কোন দোষের কথা নয়।
যেমন কাঠ আর আগুনের পাশাপাশি সংযোগ, অতি নিকটতা, দুটোকেই শেষ করে দেয়, তেমন সম্পর্কের ক্ষেত্রেও দুজনেই দুজনের জায়গা থেকে ঠিক হতে পারেন, তবে সম্পূর্ণ কখনোই নন। তাই জগতে এতো আঁচড়ানো কামড়ানো চলে। কারণ সবাই চায় পূর্ণতার স্বাদ নিতে, এদিকে জগতের স্তরে সবাই অপূর্ণ..
তাই কাউকেই জীবনে বেশি জড়াতে গেলে গোলমাল হয়ে যায়। একটা minimum distance প্রত্যেকের সঙ্গে maintain করা উচিত। এতে সম্পর্কও healthy থাকে।
আর প্রতিটি মুহূর্তে সচেতনতা ও সাবধানতাও অবলম্বন করতে হবে। জীবনে জিতে যাওয়ার আনন্দে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে শত্রুর সাথেই ঘর করছি আমরা। এবং এই শত্রু হলো আমাদেরই দেহ। আর নিজেকে এটা প্রতি মুহূর্তে মনে করিয়ে দিতে সৎসঙ্গের জুড়ি মেলা ভার।
তাই সৎসঙ্গে জীবন বাঁচুন, নিজেকে পূর্ণতার দিকে আরও এগিয়ে দিন এবং অন্যকেও উঠতে সাহায্য করুন...