শনিবার, আশ্রমে সাপ্তাহিক উপনিষদের ক্লাস হয়ে গেছে। ক্লাস শেষে দুজন ব্রহ্মচারী এবং একজন ভক্ত মহারাজের ঘরে বসে নানান সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন। একজন ভক্ত আশ্রমের সবার জন্য কেক বানিয়ে এনেছেন। যথাসময়ে সেই কেক পরিবেশন করা হল, এবং সেই কেক খেয়ে সবাই প্রশংসাও করল। পরে, সেই ভক্ত এসে সবাইকে আরেক টুকরো করে কেক দিয়ে গেল, সেটাও খাওয়া হলো। কিছু সময় পর মহারাজ নিজের ভাগের কিছু অংশ একজন ব্রহ্মচারীকে দিলেন। বললেন- “আমি খেতে পারছি না, তুই খা”, ব্রহ্মচারী মহারাজ খেলেন। তারপর তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর যখন তিনি আবার ঘরে ঢুকলেন, তার হাতে আর এক টুকরো কেক দেখা গেল। ঘরের ভিতরের সবাই এই দৃশ্য দেখে হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছে না। মহারাজ বললেন- “৪ পিস!!!😳😳” নানান উপহাসের পর একজন ব্রহ্মচারী মহারাজ বললেন, “বয়সে ছোট হলে অনেক এডভান্টেজ পাওয়া যায়”। মহারাজ বললেন- “দেখে নাও যতক্ষণ তুমি “লিঙ্গসেবায়” (মহারাজের ভাষায় “চুঙ্কুসেবা”) মন না দিচ্ছো কিংবা এর দাস না হয়ে যাচ্ছ, প্রকৃতি তোমাকে অনেক ভোগ-যোগ দুই - এরই অপশন দেবে। কিন্তু যখনই তুমি এর নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে তখন প্রকৃতি তোমার ঘাড়ে ধরে জোর করে সব করাবে। এই কেক বা সামান্য বিষয় নিয়েই সংসারে কত কলহ হয়। আধ্যাত্মিক জীবনে এ অনায়াস যাবে আসবে। কিন্তু গুরুত্ব দিয়েছ কি মরেছো!
কিন্তু, এই সহজ জিনিসটা কেউ না বুঝে সেই একই গর্তে পা দেয় আর পচে মরে তাও বার বার। প্রকৃতি চায় তুমি ঐ প্রাকৃতিক কাজটি ( সন্তান উৎপাদন) যেনতেন প্রকারে করো। একবার বিস্তারের খেলায় পা দাও। যতক্ষণ না দিচ্ছো, সে সব offer করবে। বুদ্ধিমান তো সে, যে যাই করুক ঐ খেলায় পা না দেয়। আর একবার পা দিলে ঐ প্রকৃতিই এবার ঐসব বিষয় যা offer করছিল, তার জন্য কাঁদিয়ে ছেড়ে দেবে। বিষয়টা ধারণা করো!!
সবাই ভাবে আধ্যাত্মিক জীবন মানে সব ছেড়ে দিতে হবে, কিন্তু এতে যে, না জড়ানো, বেপরোয়া, বাদশাহীত্ব আছে, নির্বিকল্পতার আনন্দ রয়েছে, তা কেউ ধারণাই করতে পারে না”।
ছোট বুদ্ধিতে বুঝি না। কিন্তু, হয়তো এটাই জ্ঞানের লক্ষণ যে, তারা ছোট ছোট বিষয়কেও কত গভীরভাবে, আধ্যাত্মিকতার দূরদৃষ্টিতে দেখতে ও প্রেমে অন্যকে বুঝিয়ে দিতেও পারেন। এটাই হয়তো সতের সঙ্গের ফল। না চাহিতেই যাহা পাওয়া যায়.....